হিলি প্রতিনিধি:
মাঘ মাসের প্রবল বর্ষণে দিনাজপুরের হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট ও নবাবগঞ্জ উপজেলার ৪০টি ইট ভাটায় কাঁচা ইট পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে ইট ভাটা মালিকেরা জানিয়েছেন। ইট পোড়ার মৌসুমে কোন বছর অসময়ে এত বেশি বৃষ্টিপাত হয়নি। এবছর শুরু থেকেই এ শিল্প প্রতিষ্ঠানে দূর্যোগ দেখা দেয়। গত বছরের তুলনায় এবছর জ¦লানী হিসেবে কয়লা ব্যবহার করত অনেক ইটভাটা কিন্তু এবছরে কয়লার তিনগুণ মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক ইটভাটা জ¦লানী হিসেবে পুড়ছে কাঠ। নবাবগঞ্জে বৃষ্টির কারণে ইট ভাটায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ১০ কোটি টাকার উপরে কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে এবছর ইটের দাম অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইটভাটা মালিকেরা জানান, ৩ টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৪০টি ইটভাটায় ইট তৈরি করা হচ্ছে। গত দুই দিন আগের দুদফায় বৃষ্টির কারণে ভাটাগুলোতে পোড়ানোর জন্য তৈরী করা কাঁচা ইট পানিতে গলে নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বৃষ্টির পর পুনরায় ভাটাগুলোতে ইট প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মুষলধারে হওয়া বৃষ্টির পানিতে অধিকাংশ ইটভাটার কাঁচা ইট গলে নষ্ট হয়ে গেছে।
ইটভাটা মালিক হাফিজুর রহমান জানান, দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে তাঁর ভাটাতে মাটির তৈরি কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় ১০লাখ টাকার ইট পানিতে গলে গিয়েছে। এছাড়া সবগুলো ইটভাটা মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। ইটভাটার কোন মালিক এবছর লাভের অংশ নিতে পারবেন না। প্রত্যেকেরই কমবেশী ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তিনি জানিয়েছেন।
গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন
হিলি, দিনাজপুর